ছবি সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। বুধবার সকাল থেকে বিজয় একাত্তর হল, রোকেয়া হল, কবি জসীম উদ্দিন হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে হল ত্যাগ করছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরিবেশ স্বাভাবিক হলে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মঙ্গলবার সারাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সহিংসতা বৃদ্ধির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে আবাসস্থলে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেয়। ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির একটি জরুরি সভা মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় এবং আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভা চলছে। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম, রংপুর, বরিশালেও ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়, যাতে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হন।
নিহতদের স্মরণে আজ ঢাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কফিন মিছিল করা হবে। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন